My Fair Lady...মানির গল্পে আমার কল্পনা
- amlan ganguly
- Jul 15, 2021
- 2 min read

আমার মানি আর পাপা এই সিনেমাটি দেখেছিলেন হলে। মানি -র অন্যতম ফেভারিট অভিনেত্রী ছিলেন Audrey Hepburn. এই অ্যামেরিকান মিউজিক্যাল কমেডিটি মানির এতো ভালো লেগেছিলো যে দিদিকে আর আমাকে এর মজার মজার ডায়ালগ, গান প্রায়ই মানির মুখে শুনতে হতো। অনেকেই হয়তো জানেন যে আইরিশ নাট্যকার George Bernard Shaw -র পিগম্যালিয়ন থেকে নিয়েই এই My Fair Lady-র জন্ম। এই সিনেমায় দেখানো হয়েছিলো কিভাবে ফুল বিক্রেতা Eliza Doolittle (Audrey Hepburn) কে Professor Henry Higgins (Rex Harrison) লন্ডনের অভিজাতদের কাছে ডাচেস বলে পরিচিতি দেওয়াতে সক্ষম হন, এলিজা-র প্রবল আপত্তিকে নস্যাৎ করে দিয়ে। Audrey Hepburn এর strong Cockney accent ছেড়ে লেডী হয়ে ওঠার গল্প শুনে শুনে এটা ঠিক করে ফেলেছিলাম বড় হয়ে আর কিছু না দেখি এই সিনেমাটি দেখবই। যখন প্রয়াসম শুরু করলাম কিভাবে যেন Professor Henry Higgins আমার মাথায় জায়গা করে নিলেন আর উনি আরও গেড়ে বসলেন অনট্র্যাক ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউট খোলার পর ।

আমার মাথায় সারাক্ষণ ঘুরতো শুধু কথাবার্তা না চালচলনে পোশাক পরিচ্ছদে সাজগোজে যদি আমাদের ইয়ুথদের রুচিশীল না করা যায় তাহলে আমার বন্ধুরা কোনদিনই গ্লোবাল সিটিজেন হয়ে উঠতে পারবে না। যেমন ভাবা তেমন কাজ - রে রে করে ঝাঁপিয়ে পড়লাম। একের পর এক সেশানে ওঁদের হাঁটা, দাঁড়ানো, কথা বলা, টেব্যল ম্যানারস, নানান রকমের etiquette শেখানো হতে লাগলো। ফ্যাশনে আমার সঞ্চিত জ্ঞানের ওপর ভরসা করে আমাদের ক্যালেন্ডার শ্যুট শুরু হয়ে গেলো - ইন্ডিয়ান অয়েল তো অবাক তাঁদের "প্রেস্টিজিয়াস" ক্যালেন্ডারের মডেল হবে প্রয়াসমের ইয়ুথ - কিন্তু ফাইন্যাল প্রডাক্ট দেখে তাঁরাও বেশ খুশি এবং পরপর পাঁচ বছর এই ক্যালেন্ডার তৈরির বরাত পেলাম আমরা।


এরপর সালিম রা যখন অ্যামেরিকায় গেলো গ্র্যাজুয়েশান কমপ্লিট করতে, তখন ওখানকার প্রত্যেকজন প্রোফেসার ওঁদের আচার আচরণ দেখে উচ্ছসিত প্রশংসা করেন । এইটা আমাদের অনট্র্যাকের এক বিশাল পাওনা। Stanford Center for Biomedical Ethics যখন আমার কাজের বিশেষ করে mentoring এর ওপর একটি ডকু ফীচার, The Revolutionary Optimists বানাতে কোলকাতায় আসলেন, Dr Maren Grainger Monsen বলেছিলেন যে কোন এলাকায় ঢুকলেই বোঝা যায় কারা প্রয়াসমের সঙ্গে কাজ করছে আর কারা না। উনি এই ডকু ফীচারটির অন্যতম নির্দেশক।
আর তাই গতবছর যখন আমরা আমাদের লাইফস্টাইল স্টোর দুয়োরানীর সংসার থেকে স্যারভাইভ্যাল ওয়াকের আয়োজন করলাম তখন মিডিয়া থেকে সাধারণ মানুষজন অবাক হয়ে গিয়েছিলেন আমাদের এই শো এর অভিনবত্ব দেখে। https://www.facebook.com/drs4less/photos/a.109272327472379/202517251481219/


আমার সিনেমাবেলা আজ শেষ করবো দুটো তথ্য দিয়ে বলি ও টলিউড চেষ্টা করেছিলো My Fair Lady কে পর্দায় ফোটাতে - কিন্তু আমার মতে দুটো ফিল্মই তাবড় তাবড় অভিনেতা থাকা সত্ত্বেও আমার মনে কোনোরকম দাগ ফেলতে পারেনি। ফিল্ম দুটি ছিল বাসু চ্যাটারজ্জী নির্দেশিত দেব আনন্দ, গিরীশ কর্ণাড, টিনা মুনিম অভিনীত মনপসন্দ ও উত্তমকুমার , সন্তোষ দত্ত, মৌসুমি চ্যাটারজ্জী অভিনীত ওগো বধূ সুন্দরী। বাংলা সিনেমাটির একটি গান অবশ্য আমার খুব প্রিয়। কিশোরকুমারের এই তো জীবন। ও হ্যাঁ জানিয়ে দিই এই দুটি সিনেমাও আমি মানির সঙ্গেই দেখেছিলাম।
Comments