top of page
  • Facebook
  • Twitter
  • Instagram

হারায়ে খুঁজি...

  • Writer: amlan ganguly
    amlan ganguly
  • Aug 23, 2021
  • 3 min read

ছোটবেলায় ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা মনে থাকলেও তার কোনও ছবি বা ভিডিও না থাকার দরুন

যেমন মনটা মাঝেমাঝে আনচান করে, ঠিক সেই একইভাবে কিছু সিনেমা যা মনে গেঁথে আছে তার কোনও খোঁজ কোথাও পাই না বলে মাঝেমাঝে বেশ বিরক্ত লাগে। আমার হারিয়ে যাওয়ার সিনেমার লিস্টে বেশির ভাগই বাংলা ছবি। কারণ হলিউড বা বলিউডে -র সিনেমার সংরক্ষণ আমাদের থেকে ভালো। প্রথমেই আসবো রবি ঘোষ নির্দেশিত জয়া বচ্চন (তখন ভাদুড়ী), চিন্ময় রায়, শেখর চট্টোপাধ্যায় অভিনীত সাধু যুধিষ্ঠিরের কড়চা ফিল্মটির কথায়। ১৯৭৪ সালে আমার তখন সাত বছর বয়েস মানি পাপা দিদি নাড়ুকাকু -র সঙ্গে গিয়ে ইন্দিরা সিনেমা হলে দেখলাম। অল্প মনে আছে একটা কিডন্যাপিং এর ঘটনার ওপর ভিত্তি করে সিনেমাটি তৈরি হয়েছিলো - এখন বার বার সার্চ করেও কিচ্ছু পাওয়া গেলো না - এই ছবিটা ছাড়া - একটি ট্যুইট

(1971) Jaya Bhaduri cooling herself with a motorized fan as she waits with Gouri Mitra for a shot on the sets of ‘Sadhu Judhisththirer Karcha’. আর পেলাম প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় এই সিনেমার একটি অসাধারণ গান। https://www.youtube.com/watch?v=6cRx_Tc6f4Q

ঠিক একই ভাবে হারিয়ে গেছে মাধবী মুখোপাধ্যায় দীপঙ্কর দে সোমা দে অভিনীত হারায়ে খুঁজি, আরতি ভট্টাচার্য মহুয়া রায়চৌধুরী সুমিত্রা মুখোপাধ্যায় দীপঙ্কর দে অভিনীত পরিচয় ফিল্মটি। শেষের ফিল্মটির এতো স্মার্ট ডায়ালগ, টানটান চিত্রনাট্য বাংলা সিনেমায় খুব কম দেখেছি। এখনও মনে আছে এই সিনেমার পোস্টারের দারুণ আর্ট ওয়ার্ক। হারায়ে খুঁজি সিনেমাটির প্রত্যেকটি গান বিশাল জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলো - যেমন অনুপ ঘোষালের গলায় ফুলে ফুলে বঁধু বা আরতি মুখোপাধ্যায়ের গলায় টুং টাং পিয়ানোয় আর আমার ফেভারিট হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গলায় সে ভাবে সবুজ পাথর...

ঠিক একই রকম ভাবে আমি প্রায় দিনই হাতড়াই প্রয়াসমের অনেক অনেক মুহূর্ত যা ক্যামেরায় বন্দী করা হয়নি নানা কারণে। আর সবসময় যে তাঁদের কে বন্দী করে রাখতেই হবে সেরকমও কোনও মানে নেই। যেমন ১৯৯৬ সালে আমাদের প্রথম আত্মপ্রকাশের দিন টেনশান, পাগলামি, চুড়ান্ত ব্যস্ততা, আমার বন্ধু জবার পাঠানো ডাঁটিওয়ালা গোলাপ দিয়ে অডিটোরিয়াম সাজানো সবার শেষে পাপার রাজভোগ পাঠানো - আর সবচেয়ে বড় আনন্দ Tribute to Nari দেখে মানির উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি - সব মন ক্যামেরায় তোলা আছে - কি যে মজা করেছিলাম তা বলবার না কিন্তু একটাও ছবি পাওয়া মুশকিল - একবার বিছানায় শুই, পায়চারি করি। আর ফাঁকে ফাঁকে কত কথা যে মনে পড়ে। প্রয়াসমের সঙ্গে কত দিনকার কত স্মৃতি। চোখের অনেক ভেতর থেকে দেখতে পাই সেইসব দিন, সেই সব উত্তাল রাত।

দুটি সিনেমা যার একটি দেখেছি আরেকটি আজ অব্দি দেখা হয়নি, ইন্দর সেন পরিচালিত অপর্ণা সেন ও স্বরূপ দত্ত অভিনীত অসময় আর তরুণ মজুমদার পরিচালিত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও সন্ধ্যা রায় অভিনীত সংসার সীমান্তে। প্রেমেন্দ্র মিত্রের লেখা সংসার সীমান্তে গল্পটি পড়েছি বহুবার কিন্তু সিনেমাটি আজও দেখা হয়ে উঠলো না। অসময় গল্পে আছে প্রধান পাঁচ টি চরিত্র – মোহিনী, অবিন, আয়না, সুহাস ও জ্যেঠামশাই । গোটা বইটি অদ্ভুত ভাবে সাজানো, এক একটি অধ্যায় এক এক জনের প্রেক্ষাপট ও দৃষ্টিভঙ্গি তে রচনা করা। প্রধান যে দুটি চরিত্র অর্থাৎ অবিন ও মোহিনী তাদের মানসিক ওঠাপড়া, সম্পর্কের জটিলতা সম্পূর্ণ গল্পটিকে ঘিরে রেখেছে। বই পড়তে পড়তে আমি বহুবার অবিন চরিত্রটির সাথে হুমায়ুন আহমেদের রচিত চরিত্র ‘হিমু’ বা ‘হিমালয়’ চরিত্রটির মিল পেয়েছি। সিনেমাটি আমি দূরদর্শনে দেখি - অপর্ণা সেনের মোহিনী আর স্বরূপ দত্তের অবিন কে আমি আজও ভুলিনি।

২০১৬ সালে মনিষ অ্যামেরিকা থেকে পড়ে ফেরার পর আমার আর সপ্তর্ষির সঙ্গে প্রথমবার অ্যামেরিকায় আসে। অগাস্টমাসের ২৩ তারিখে আমরা পৌঁছালাম। ফেসবুকে ওয়ার্কশপের ছবি, খাওয়া দাওয়া এমনকি এয়ারপোর্টে -র ছবি ও আপলোড করা আছে, নেই লস এঞ্জেলেসে -র রাস্তায় বা এস হোটেলে আমাদের প্রচুর অকাজের মজার ঘটনার ছবি । সপ্তর্ষির নানারকমের এলোমেলো ব্যবহারের, মনিষের ভ্যাবাচাকা খাওয়া চেহারার আর আমার পাগলামোর, কোনটারই ছবি তোলা নেই। ক্যামেরায় নেই প্রয়াসমের বহু সুখের ভালো লাগার মুহূর্ত - প্রচুর প্রচুর মানুষের ভালোবাসা আর জড়িয়ে থাকার ছবি। তবে বললাম যে এই সব মুহূর্তগুলো এমন ভাবে গেঁথে আছে মনে যে আমি সব রকমের খারাপ লাগা মন্দ লাগা মুহূর্তগুলোকে মনক্যামেরার থেকে ডিলিট করে দিয়ে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি এঁদের ভরসায়। তাই প্রত্যেক মুহূর্তে আমি সাজাই আমার স্মৃতির কোলাজ...

আমরা রয়ে যাবো অঘোষিত- এই ফুটপাত, বারান্দা ও রেস্তোরাঁয়- আমরা রয়ে যাবো বৈশাখী মেলায়, একুশের প্রভাতফেরীর ভীড়ে, আমরা রয়ে যাবো মিটিং-মিছিল-স্লোগান ও বিপ্লবে- আমরা রয়ে যাবো প্রেমিক যখন ভালোবেসে চুমু এঁকে দেবে প্রেমিকার গালে- আমরা রয়ে যাবো, ডাহুকী তখনো ডাক দেবে ডাহুক ফিরিলে ঘরে- আমরা রয়ে যাবো ট্রেনের হুইসেল, স্টিমার ঘাটের চওড়া বাঁশিতে- আমরা রয়ে যাবো দুপুরের মতো ফর্সা বিকেলে, যখন আকাশে পা দোলাবে চঞ্চল কিশোর রোদ্দুর- আমরা রয়ে যাবো স্মৃতির ম্লান পটে- জানি না কতোদিন রবো, কতদূর?

  • কবিতা: স্মৃতির ক্যাটার‍্যাক্ট জুড়ে

  • কবি: কৌশিক মজুমদার শুভ










 
 
 

Comments


CONTACT
ME

Tel. 033 4004 5956
CG 65 Sector 2
Salt Lake City

© 2023 by Prayasam Visual Basics

TELL
ME

Thanks for submitting!

bottom of page